বিডিনিউজ ১০ ডটকম ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচনের পরদিন হওয়ায় এবার বাসার ছাদেও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করা যাবে না। আজ রবিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সাথে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিনে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে সারা দেশের চার্চ। এছাড়া নির্বাচন কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘৩০ তারিখ আমাদের সাধারণ নির্বাচন। সেটাকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবেন। কাজেই আমরা নিরুৎসাহিত করছি কোনো জায়গায় যেন থার্টি ফার্স্ট নাইট অনুষ্ঠান না হয়।
এজন্য বিশেষ করে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না। বাসার ছাদেও করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখতে চায়, ইসি যেখানে ব্যবস্থা চায়, নিরাপত্তা বাহিনী সেই ব্যবস্থাটাই করবে। সব ধরণের ব্যবস্থা করবে নিরাপত্তা বাহিনী।’
তিনি আরো বলেন, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লাবে কোনো বার খোলা থাকবে না। থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো বৈধ অস্ত্র বহন করা যাবে না। ওড়ানো যাবে না কোনো বেলুন, ফানুস, ফোটানো যাবে না আতশবাজি, পটকা।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনো হোটেল-গ্যাদারিং সৃষ্টি করে ডিজে পার্টি করা যাবে না। হোটেলগুলোতে এবং বিভিন্ন জায়গায় ডিজে পার্টি করে একটি বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়; যেহেতু ইলেকশন, সেহেতু আমরা বলছি কোনো হোটেলে ডিজে পার্টি করা যাবে না এবং কোনো গ্যাদারিং সৃষ্টি করা যাবে না। থার্টিফাস্ট নাইটে হোটেলগুলোতে বৈধ পার্কিংয়ের বাইরে কোনো জায়গায় পার্ক করতে পারবে না। সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো। দেশের পর্যটন এলাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকবে।’